মহাভারতের কিংবদন্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন হলো ভীমকুন্ড।
🔶 মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর (Chhatarpur) জেলার বাজনা (Bajna) গ্রামে অবস্থিত ভীমকুণ্ড, একটি রহস্যময় এবং মনোমুগ্ধকর স্থান। এই কুণ্ডের নাম মহাভারতের পাণ্ডব যুবরাজ ভীমের নামানুসারে রাখা হয়েছে। সূর্যের আলো পড়লেই এর জলে নীলাভ আভা দেখা যায়, যা একে "নীলকুণ্ড" নামেও পরিচিত করেছে। এই জলাধারটি মহাভারতের মহাকাব্যিক ঘটনাগুলোর পাশাপাশি তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও রহস্যের জন্য বিখ্যাত।
📖 ভীমকুণ্ডের কিংবদন্তি 📖
💠 মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, নির্বাসনের সময় তৃষ্ণার্ত দ্রৌপদীর জন্য ভীম তার গদা দিয়ে মাটিতে আঘাত করলে এই কুণ্ডের সৃষ্টি হয়। পবিত্র এই কুণ্ডের জল বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
💠 ঋষি নারদের কাহিনী অনুসারে, প্রভু বিষ্ণুকে তুষ্ট করার জন্য নারদ এখানে গন্ধর্ব গান সাধনা করেছিলেন। বিষ্ণুর নীল আভা থেকে কুণ্ডের জল নীল হয়ে যায়, এবং তাই এটি "নারদকুণ্ড" নামেও পরিচিত।
🔶 ভীমকুণ্ড সম্পর্কে অবাক করা তথ্য
💠 ১৯৭৭ সালে প্রশাসন তিনটি পাম্প লাগিয়ে জলস্তর কমানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জলের স্তর এক ইঞ্চিও কমেনি।
💠 কুণ্ডের ২৫০ ফুট গভীরে তীব্র স্রোতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়, যার উৎস আজও অজানা।
💠 এই কুণ্ড একটি গুহার মধ্যে অবস্থিত এবং এর জল এতটাই স্বচ্ছ যে জলের নিচে সাঁতার কাটতে থাকা মাছও স্পষ্ট দেখা যায়।
💠 স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, ভীমকুণ্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দেয়। যেমন, ২০০৪ সালের সুনামির সময় এর জলস্তর ১৫ ফুট বেড়ে গিয়েছিল।
📷 ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণ 📷
ভীমকুণ্ডের পাশাপাশি ভীমশঙ্কর মন্দির ও পান্ডব গুহাগুলি দর্শন করা যায়। সবুজ অরণ্য এবং ঝর্ণায় ঘেরা এই স্থান প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। এখানে ট্রেকিং, পাখি দেখা ও মাছ ধরার মতো কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া যায়।
🛣️ কিভাবে যাবেন 🛣️
ভীমকুণ্ড ছত্রপুর শহর থেকে প্রায় ৭০ কিমি দূরে এবং সড়কপথে সহজেই পৌঁছানো যায়। ট্যাক্সি বা বাস ভাড়া করে সহজেই এই স্থানে পৌঁছানো সম্ভব।
🗓️ সেরা সময় 🗓️
ফেব্রুয়ারি থেকে জুন এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর ভীমকুণ্ড পরিদর্শনের আদর্শ সময়।
লেখার অনুমতি ছাড়া কপি করা যাবে না।
#Geography #Mahabharat #Travel